মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন
জাকির হোসেন রাজু :: ধোপাজান-চলতি নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মনিপুরী হাটির অনেক বসতবাড়ি। সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় এসব বসতঘর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। বসতঘর হারিয়ে অনেকেই অন্যের বাড়িতে পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ভাদেরটেক ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাও। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মনিপুরী হাটি ও ভাদেরটেক গ্রামে প্রায় ১০হাজার মানুষের বসবাস। চলতি বছরের বন্যায় অনেক বসতঘর, ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে চলে যায়। অন্যদিকে ফসলি জমিতে বালু পড়ে চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্য স্থানে চলে গেছেন।
ভুক্তভোগি মোবারক হোসেন (৭০) বলেন, আমার বসতঘরটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করছি। ভাঙন প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন রকম ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা মাসুক মিয়া বলেন, বন্যায় মনিপুরী হাটির খুব বেশি ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বাড়ি হারিয়ে অনেকেই মানুষের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। নদী ভাঙন প্রতিরোধ না করলে মনিপুরী হাটি ভেঙে ভাদেরটেক গ্রামে এসে এর প্রভাব পড়বে।
মনিপুরী হাটির বাসিন্দা শহিদুল হক (৮০) বলেন, আমার বসতঘরটি নদীগর্ভে চলে গেছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে আমি খুব কষ্টে বসবাস করছি। গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নদীতে চলে গেছে। এছাড়া বসতবাড়ি, ফসলি জমি ভাঙনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় মনিপুরী হাটি আর থাকবে না।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুল কাদির বলেন, চলতি বছরের বন্যায় মনিপুরী হাটি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৭০টির মতো বসতঘর নদীগর্ভে চলে গেছে। অনেক ফসলি জমিতে বালু পড়ে চাষের অযোগ্য হয়ে গেছে। দ্রুত আরসিসি ব্লক দ্বারা নদী ভাঙন প্রতিরোধ না করলে দিনদিন ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই যাবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-১) মো. মামুন হাওলাদার বলেন, মনিপুরী হাটির ভাঙন প্রতিরোধে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আশা করি শীঘ্রই ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা হবে।