মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
বর্তমানে করোনা ভাইরাসটি দেশে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সুনামগঞ্জে ২৩ এপ্রিল ৪ জন সনাক্ত হয়েছে। গতকাল দ্বিগুন অর্থাৎ ৮ জন সনাক্ত হয়েছে। অনেকে নিজেই জানে না যে সে ভাইরাসটি বহন করছে। আর করোনা সনাক্ত হলেই যে রোগী মারা যাবে এমন নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই মৃত্যুর হার খু্বই কম। আমাদের দেশেও ৮০ ভাগ লোক বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগী জটিল অবস্থায় গেলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। চিকিৎসা নিতে হয়। তাই আমাদের আশে পাশে কারো করোনা পজিটিভ সনাক্ত হলে ভয় পাওয়ার কিছু নয়। রোগীর শরীরে এন্টিবডি বাড়ালে ও স্বাস্থ্য বিধি মনে চললে দু সপ্তাহের মধ্যে দুটি পরীক্ষায় ফলাফলে করোনা নিগেটিভ আসতে পারে । সুনামগঞ্জে বিভিন্ন উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৪ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাই আমাদের আশে পাশে যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদেরকে ভীতিকর অবস্থায় ফেলে দেয়া ঠিক নয়। সামাজিক ভাবে হেয় করা ঠিক নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে কারো করোনা পজিটিভ হলেই তাকে সমাজচ্যুত করা হবে। আমাদের উচিত তাদেরকে হোম কোয়ারিন্টিন মেনে চলতে সহযোগিতা করা। বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে কঠোর ভাবে নিয়ম পালনে বাধ্য করা। তবে তাদেরকে আতংকিত করে নয়। তাদেরকে পরিবারের সদস্যরা ও আশে পাশের মানুষদের তাদের সাথে মানবিক ও সহানুভূতিশীল আচরণ করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের মনে রাখা উচিত আমি যে কখন কিভাবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবো নিজেই জানি না। তখন আমার ক্ষেত্রেও একই আচরণ সবাই করবে। যেহেতু এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয় নাই। তাই যাতে ভাইরাসটি দ্রুত সংক্রমিত না হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সমাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাই করোনা প্রতিরোধের এখন একমাত্র উপায়। দেশে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার নমুনা পরীক্ষা করে সাড়ে চার থেকে পাচঁ শতাধিক করোনা পজিটিভ সনাক্ত হচ্ছে। তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব আলাদা করে রেখে উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা দেয়া দরকার। তাহলেই দেশে সংক্রমণের হারটা ধীরে ধীরে কমে যাবে। আসুন আতংক নয়, সচেতনতার মাধ্যমেই সবাই মিলে করোনা প্রতিরোধ করি। (লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া)
লেখক: প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, সরকারি দিগেন্দ্র বর্মন কলেজ, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ।