বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো: আসিফ ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর বিষয়ে দ্বিতীয় দফা স্বাক্ষী দিলেন ভিকটিম ওই নারী।
রোববার দুপুর ১২ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: হারুনূর রশিদের কার্যালয়ে অভিযুক্ত ইউএনও অসিফ ইমতিয়াজ ও অভিযোগকারী ওই নারীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানীতে নারীর পক্ষে আইনজীবি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এড: শামছুন্নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, এডভোকেট নানু মিয়া,এপিপি নুরে আলম সিদ্দিকী, এডভোকেট মাজহারুল ইসলাম,এডভোকেট হিমেল। অভিযোগকারী নারী প্রকাশ্যে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ইউএনও আসিফ ইমতিয়াজের প্রেম পরবর্তী তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সংসার করার কথা জানান। ওই নারী জানান, তাকে চাকুরী দিবেন বলে আসিফ ইমতিয়াজ তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিলেও পরবর্তী ইউএনও ১০ লাখ টাকা ফেরৎ দেন এবং বাকি টাকা এখনো দেয়া হয়নি।। সম্পর্কের এক পর্যায়ে কাবিন নামা করে দীর্ঘদিন তারা স্মামী-স্ত্রীর মতো বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকার মীরপুরে একটি ফ্লাটে বসবাস করলেও হঠাৎ ওই নারীর গর্ভে সন্তান আসায় ইউএনও তাকে সন্তান নষ্ট করার কথা বলেন। ইউএনওর এমন প্রস্তাবে রাজী না হলে ওই নারীকে বিয়ে না করার জন্য জানিয়ে দেন। পরে ওই নারী জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ইউএনও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এ কারণে ইউএনও তার লোক দিয়ে ময়মনসিংহে ওই নারীর উপর হামলা চালালে অন্ত:স্বত্তা অবস্থায় তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তার প্রচ- রক্তক্ষরণ হয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয় বলে জানান ওই নারী। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে ওই নারীর ইউ্এনও বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রথম দফা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার বিভাগ শাখা) মো: এমরান হোসেনকে দায়িত্ব দিলে ওই নারী তদন্ত কর্মকর্তার আচরনে এমরান হোসেনের সাথে কথা বল্লে তিনি প্রভাবিত হয়েছেন মর্মে আবারো তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে লিখিত আবেদন করেন। ওই ভিকটিম নারীর আবেদনের পর সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্র্যাট মো: হারুনূর রশিদ কে বিষয়টি তদন্তাভার দেয়া হয় এবং আজকে নিয়ে দ্বিতীয় দফা তদন্ত কার্যক্রম চলে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হারুনুর রশিদের সাথে মোবাই ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উভয়পক্ষের স্বাক্ষ্যগ্রহন চলছে আইনজীবিসহ গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে। উভয়ের স্বাক্ষ্য নিয়ে তদন্তে যা সঠিকভাবে প্রমাণিত হবে সেই আলোকেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া ।