মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

জাকির হোসেন রাজু’র ধারাবাহিক উপন্যাস “ভালোবেসেছিলাম”

জাকির হোসেন রাজু’র ধারাবাহিক উপন্যাস “ভালোবেসেছিলাম”

আলম, বকুল, সোহেল রহমান ও সাহেদ হোসেন একই শ্রেণীতে পড়ে। তারা চারজন খুব ভালো বন্ধু, এক জন অন্য জনকে ছাড়া এক মূর্হুতও চলতে পারে না। বলা যায় একজনের আতœা অন্য জনের আতœার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। তাদের মধ্যে যদি একজন স্কুলে না যায়, তাহলে অন্য তিনজনও স্কুলে যাবে না। যেদিনই স্কুলে যাবে সবাই একসাথে স্কুলে যাবে। স্কুলে তারা সবাই একই বেঞ্চে বসবে। সাধারণত তাদের স্কুলে একটি বেঞ্চে তিন জন বসার ব্যবস্থা থাকলেও তারা চারজনে একই বেঞ্চে বসতো। বিশেষ করে সামনের বেঞ্চে বসবে। তাদের এই বন্ধুত্বের কথা স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রায় সকল শ্রেনীর ছাত্ররাও জানতো। তাদের মধ্যে সাহেদ হোসেন একটু লাজুক। সে বিশেষ করে মেয়েদের সাথে তেমন কথা বলতে পারে না। মেয়েদের সামনে গেলেই তার মাথায় গন্ডগোল বেঁধে যায়। যার কারণে কোন মেয়ের প্রেমে পড়লেও নিজের মুখে বলতে পারে না। তবে সাহেদের মধ্যে একটি বিশেষ গুণ রয়েছে, সে ভালো কবিতা লিখতে পারে। গরিব পরিবারের বড় ছেলে বলে টাকার অভাবে কবিতার বই প্রকাশ করতে পারে না। তবে বন্ধু আলম, বকুল ও সোহেল তার কবিতা লেখাকে খুব সার্পোট করে এবং বেশি করে লেখার জন্য সাহস দিতে থাকে। আলম, হিরা ও সোহেল তারা সচ্ছল পরিবারের সন্তান। তাদের তুলনায় সাহেদের পরিবার কিছুই না, তবে তারা সাহেদকে কোনদিন অবহেলার চোখে দেখেনি।
২৫শে এপ্রিল ২০০৯ রোজ শনিবার আলম, বকুল, সোহেল রহমান ও সাহেদ হোসেন একসাথে স্কুলে আসল। প্রতিদিনকার মতো সবাই একই বেঞ্চে বসেছে। তাদের মধ্যে বকুলের একটি অভ্যাশ আছে বকুল সবসময় বেঞ্চের এক সাইটে বসে। বেঞ্চের যে সাইটটি মেয়েদের বেঞ্চের সাথে প্রায় লাগা থাকে সে সাইটে। এ সাইটে আলমের বসার ইচ্ছা থাকলেও বসতে পারে না বকুলেল জন্য। মাঝে মধ্যে আলম বলেও তুই এক সাইটে নিয়মিত বছিস, মেয়েদের সাথে কথা বলতে। মাঝে মধ্যে আমাকে সুযোগ দেওয়া যায় না কি? তখন বকুল বলে এই সাইটটি আমার জন্য প্রযোজ্য তোর জন্য নয়। মেয়েদের সাইটে বসার অবশ্য একটি কারণও আছে, কারণটি হলো, যাতে বকুল মেয়েদের সাথে কথা বলতে, মাঝে মধ্যে দুষ্টামি করে উড়নায় টান দিতে পারে, অথবা মেয়েদের খাতা দেখে পড়া লিখতে পারে, কারণ বকুল লেখা পড়ায় একটু দূর্বল। সাহেদের বসার দিকটা ঠিক তার উল্টো, সাহেদ বকুলের বিপরীত পাশে অর্থাৎ বকুল বেঞ্চের ডান পাশে এবং সাহেদ বেঞ্চের বাম পাশে বসেছে। আলম এবং সোহেল বেঞ্চের মাঝে বসে। আজও সাহেদ বকুলের বিপরীত পাশে বসেছে। রীতিমত তারা ক্লাস করছে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত ক্লাস সুন্দরভাবে শেষ হওয়ার পর টিপিন খাওয়ার জন্য ৪৫মিনিটের বিরতি দেওয়া হলো। আলম, বকুল ও সোহেলসহ ক্লাসের প্রায় সবাই যার যার মতো টিপিন খেতে ক্যান্টিতে চলে গেল। সাহেদের ভালো লাগছে না, তাই টিপিন খাওয়ার জন্য ক্লাস থেকে আজ বের হলো না। সাহেদ বেঞ্চের মধ্যে মাথা রেখে লকিয়ে লুকিয়ে দেখছে ক্লাসের মধ্যে কতজন মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের মধ্যে যে সাহেদকে কেউ একজন লক্ষ করছে তা সাহেদ বলতে পারে না। হঠাৎ কিরণ বলল কি ব্যাপার সাহেদ তুমি কি আমাকে কিছু বলবা নাকি? সাহেদ চমকিয়ে উঠল। মনে মনে ভাবল কে আমার নাম নিল। এখানে তো কোন ছেলে নেই, তাহলে আমাকে ডাকবে কে। মেয়েদের মধ্যে তো কেউ আমাকে ডাক দেওযার কথা না। সাহেদ ভাবতে ভাবতে আবার কিরণ একটু উচ্চ স্বরে বলল সাহেদ তুমি কি আমাকে কিছু বললবা নাকি। না মানে আমি, আমি আমি বলতে বলতে সাহেদ সিরিয়াস হয়ে বলল না আমি কিছু বলবো না। তাহলে তুমি আমার দিকে অনেক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছো কেন? বলে পরক্ষনেই কিরণ একটু মুচকি হাসি দিয়ে লাজুক হয়ে গেছে। মনে মনে ভাবতে লাগল সাহেদ আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে আর এখন লজ্জায় কিছু বলছে না। আমিই না কি ভুল করলাম কেন যে ডাক দিরাম। দেখতাম সাহেদ কতক্ষণ আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে। সাহেদের তো জান যায় যায় অবস্থা। মনে মনে বলে কি পাপ করেছিলাম আজ ক্লাসে একা একা রইলাম। আর মেয়েরে দিকে থাকাবো না বলে বসে রইল। কিছুক্ষণ পরে আবার ভাবে দেখি তো কিরণ কি আমার দিকে তাকায় কি না, কিরণে দিকে তাকিয়ে তো সাহেদ অবাক কিরণ তো সাহেদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে। সাহেদের চোখ কিরণের চোখে পড়তেই কিরণ লাজুক হয়ে গেছে তবে সাহেদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেইনি কিরণ বরং এখন আরো বেশি করে দেখতে শুরু করেছে এবং ডান হতের কনিষ্ট আঙ্গুলের নক কামড়াচ্ছে। সাহেদও কিরণের দিকে থাকিয়ে মনে মনে ভাবছে আর নিজেকে প্রশ্ন করছে কিরণ কি আমাকে আবার কিছু বলবে নাকি? বললে বলুক। যদি বলে সাহেদ তুমি কি আমাকে কিছু বললবা নাকি? সাথে সাথে কোন চিন্তা ভাবনা না করে বলে দেব আমি তোমাকে দেখছিলাম। সাহেদ এই সাহেদ এই নে তোর টিপিন বলে হটাৎ করে ক্লাসে এসে হাজির বকুল। সাহেদ চমকিয়ে বলে দে তোকে কে বলেছিল আমার জন্য টিপিন আর টিপিন আরও পরে আনলেও তো পারতি। কেন এখন টিপিন আনছি তো তুই খাওয়ার জন্য, পরে তো সমসয় পাবিনি না খাওয়ার। এখন আনলাম বলে কি তোর কোন সমস্যা হয়েছে নাকি? আমি তো তা বলিনি। তাহলে কি জন্য একটু পরে আসবো? আরে আলম আর সোহেল আসেনি তো তাই বললাম। যাক আমিতো ভাবছিলাম আমি এখন টিপিন আনলাম বলে তোর সমস্যা হয়ে গেছে বলে বকুল বসে পড়ল তার ছিটে। বকুলের বসে পড়ার সাথে সাথে সাহেদ বলল কিরে বসে পড়লি তুই টিপিন খাবি না। আমি টিপিন খেয়েই তো তোর জন্য আনলাম। তুই খেয়ে নে। তাহলে আলম আর সোহেল কে নিয়ে আয় একসাথে গল্প করবো নে। আরে আলম আর সোহেল একটু পরে আসবে একটু বিরক্ত হয়ে বলল বকুল। সাহেদের কথা হলো কোন রকমে যদি বকুলকে আবার ক্লাসের বাইরে বের করা যায় তাহলে কিরণের সাথে চোখা চোখি করা যাবে। বকুল বলে এই সময় তেমন নেই আগে খেয়ে নে। খাচ্ছিরে ভাই, বলে মনে মনে বলছে সালার সালা আর সময় পাইলি না, একটু পরেই আসতি আমার প্রেমটা করার সময়টা পর্যন্ত দিলি না। জীবনে কোন মেয়ের দিকে সাহস করে তাকাতে পারিনি, আজ যে তাকালাম তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না। পরীর মতো মেয়েটি সাহেদের দিকে এভাবে তাকাবে সাহেদ কখনোও ভাবেনি। সাহেদ টিপিন খেতে খেতে ঘন্টা পড়েছে টিপিনের সময় শেষ। সব ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে চলে এসেছে, বিজ্ঞান পড়ানোর জন্য শিক্ষক চলে এসেছে। বিজ্ঞান ক্লাসে সাহেদ লুকিয়ে লুকিয়ে কিরণের দিকে বেশ কয়েকবার তাকিয়েছে। কিরণও সাহেদের দিকে তাকিয়েছে। আলম, বকুল বা সোহেল তাদের কেউ বুঝতে পারেনি সাহেদ যে লুকিয়ে লুকিয়ে কিরণের দিকে তাকিয়েছে কয়েকবার। তাদের মনে তো এমন কল্পনাই আসবে না, কারণ তারা জানে সাহেদ কোন মেয়ের দিকে তাকালে লজ্জা পায়। বিজ্ঞান ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। স্কুল ছুটি হওয়ার পরে কিরণ ক্লাস রুম থেকে যে কিভাবে বের হয়েছে সাহেদ টেরই পেল না। সাহেদ অনেক খুঁজা খুঁজি করেছে এক পলক দেখার জন্য কিন্তু কিরণের দেখা পেল না। অন্যান্য দিনে স্কুল ছুটির পর রাস্তায় সাহেদ অনেক কথা বলতো আজ কোন কথাই বলেনি শুধ আনমনা হয়ে কি যেন ভাবছে। কেন বলেনি আলম ও সোহেল অনেকবার জানতে চেয়েছে সাহেদ উত্তর দিয়ে এমনিতেই। সবাই যার যার বাড়িতে চলে গেল। সাহেদও বাড়িতে চলে এসে কোন কিছুই খাইনিও শুয়ে পড়েছে বিছানায়। সাহেদের ছোট বোনটি এসে বলল কিরে ভাই বাত খাবি না? নারে খাবো না। কেন তোর কি মন খারাপ নাকি? আরে না মন খারাপ থাকবে কেন। তাহলে কি? কোন কিছু না, তুই এখন যা। ঠিক আছে গেলাম বলে ছোট বোনটি চলে গেল। বিছানায় শুয়ে ঘরের কোণে রাখা পুরনো হারিকেনের দিকে এক পলকে তাকিয়ে ভাবছে আর মনে মনে বলছে কিরণ তুমি আমার জীবনের একমাত্র আলো, যা আমি এতো দিন দেখতে পারিনি, আজ দেখলাম তোমার চোখে আমার সকল সুখ রয়েছে। তুমিই আমার জীবনের প্রথম এবং শেষ ভালোবাসা। আমি যে এক পলকে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। তুমিই আমার একমাত্র আসা, তুমিই আমার একমাত্র ভরসা। কিরণের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন সাহেদ।
রাত প্রায় শেষের দিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফজরের আযান হবে। এমন সময় ঘুমের ঘরে স্বপ্নে দেখে কিরণ সাহেদকে বলছে তুমি আমার সাথে স্কুল ছুটির পর দেখা করলা না কেন? সাহেদ বলছে আমি তোমাকে অনেক খুঁজেছি পায়নি। কেন আমি তো তোমার সামনে দিয়েই বের হয়েছি তুমি দেখতে পাওনি? না আমি তো তোমাকে হয়রান হয়ে খুঁজেছি। তাই নাকি? তুমি বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক খুঁজেছি। কেন আমাকে তুমি খুঁজেছিলে কিরণ এই কথা বলার সাথে সাথেই ফজরের আযান শুরু হয়ে গেল আর আযানের শব্দে সাহেদের ঘুম ভেঙ্গে গেল। সাহেদ মনে মনে বলে সবই কপাল, তা না হলে কেন বলতে পারলাম না আমি তোমাকে ভালোবেসেফেলেছি। এই কথাটি বলার পরই ঘুমটা ভাঙ্গতো তাহলেই তো আমার প্রেম জমে উঠতো। আনমনা হয়ে বসে আছে অন্ধকার ঘরে আর ভাবছে কখন রাত শেষ হবে আর কখন স্কুলে যাবে। আর কখন কিরণকে দেখবে। ভাবতে ভাবতে রাত শেষ হয়ে গেছে। ২৬শে এপ্রিল রোজ রবিবার, সকাল ছয়টা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির সাথে হালকা ঠান্ডা বাতাস শন শন করে বইছে। চারদিক র্নিজন, র্নিস্তব্দ। মনে হচ্ছে গভীর রাতে গ্রামের সারাদিন কাজ করে খেটে খাওয়া ব্যস্ত মানুষ গুলো ঘুমে ব্যস্ত। এই সকালে সাহেদ একা একা বকুলদের বাড়ির পেঁচন দিয়ে বয়ে যাওয়া যাদুকাটা নদীতে বালির উপর বসে দাঁত মাঁজছে আর কি যেন ভাবছে, মুখ দেখে হয় কোন খুশির বার্তা এসেছে বহুদিন পরে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির জলে যে সাহেদ ভিজে যাচ্ছে তার কোন খেয়াল নেই। মনে হয় ভাবনা সাগরে ডুবে আছে। হালকা বাতাসে সাহেদের মাথার লম্বা চুল গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে বারে বারে সাহেদ চুল গুলো এক হাত দিয়ে ঠিক করছে মিটি মিটি হাসছে। হঠাৎ সোহেল এসে সামনে হাজির। সাহেদ অবাক এসময় সোহেল আসার তো কোন কথা নেই। তাহলে এতো সকালে, তাও আবার ঠান্ডা বাতাসের সাথে বৃষ্টির পড়ছে। এসময় তো ঘরে সোহেলের পড়ার কথা। সাহেদ মনে মনে চিন্তা করছে। সোহেল বলল কিরে সাহেদ কি ভাবছিস? না কিছু না। সাহেদ এতো সকালে তুই এখানে কি করছিস? তাও আবার বৃষ্টির মধ্যে কি ঠান্ডা বাতাসরে বাবা! সাহেদ বলল আর বলিস না আজ খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেলো তাই ভাবলাম দাঁত ব্রাশ করতে করতে একটু হাটি। তাহলে হাটবি এই বৃষ্টির মধ্যে ভিজেছিস কেনো? আরে বন্ধু বলিস না আমি একটি ভাবনার মধ্যে পড়ে ছিলাম। সোহেল মুছকি হেসে বলল আমি তা তোর মুখ দেখেই বলতে পারছি। সাহেদও একটু মুছকি হাসি দিয়ে বলল তুই কিভাবে বুঝলি? আরে বন্ধু আমি মানুষের মুখ দেখেই অনেক কিছু বলতে পারি। তাই নাকি? হুম। শোন সোহেল সব সময় সব জায়গায় যে তুই পঠকাবাজি করিস তা আমার কাছে করতে আসিস না। ধান্ধাবাজি সব জায়গায় না বুঝলি? কি বুঝতাম? এই যে তুই বললি তুই মানুষের মুখ দেখেই অনেক কিছু বলে দিতে পারিস। শোন সাহেদ সবার সাথে পঠকাবাজি করলেও তোর সাথে না, অন্যেরটা পারি আর নাই পারি তোর মুখ দেখে আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি তুই কি জন্য এতো সকালে এখানে আর কি জন্যই এতো খুশি। তাহলে বল শোনি তুই কি বুঝলি? তুই কোন মেয়ের প্রেমে পড়েছিস। সাথে সাথেই সাহেদ অনেক আগ্রহ নিয়ে বলল সোহেল তুই কিভাবে বুঝলি? তার আগে বল আমার কথা ঠিক হয়েছে কি না? ঠিক বলেছিস বন্ধু। তাহলে শোন কিভাবে বুঝলাম, কাল বিকালে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে আসার পথে আমরা যখন কথা বলছিলাম তখন তুই কোন কথা বলেছিলে না কিন্তুু। তখনই আমি অনুধাবন করেছি হয়তো তুই কোন সমস্যায় পড়েছিস। তোর সমস্যার কথা জানতেই তোর কাছে আমার এতো সকালে আসা। বাড়িতে গিয়ে দেখি তুই নেই, তোর মা বলল তুই নাকি নদীর পাড়ে গিয়েছিস। আমি তোকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে আসলাম এসে যখন দেখতে পারলাম তোর মুখে হাসি আর হাসি আমি তখনই বুঝতে পেরেছি তুই লুকিয়ে লুকিয়ে জল পান করছিস। তুই ঠিকই ধরেছিসরে ভাই, আমি একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছি।

চলবে……………..পরবর্তি অংশ প্রকাশিত হবে ১০ই জুন।

শেয়ার করুন




 

 

 

 

© 2017-2022 All Rights Reserved Amadersunamganj.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!