মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন
জাকির হোসেন রাজু:: তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৫বছর যাবত প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ স্বাভাবিক গতি যেন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষকের শূন্যতার কারণে বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পাঠদান কার্যক্রম ও দাপ্তরিক কাজ একসঙ্গে পরিচালনা করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মানসম্মত শিক্ষা থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান আবেদন করেন। আবেদনে তিনি তার শারীরিক ও পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালেন ১৭ জানুয়ারি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে। পরে ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিকক্ষ আব্দুল ওয়াহিদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করে।
তবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এমনটা দাবি করলেও সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেন তাকে জোর করে বিদ্যালয় থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। পরে ওই শিক্ষক নিজের পদ ফিরে পেতে আদালতে মামলা করেন। যা এখনও উচ্চ আদালতে বিচারধীন রয়েছে। এবিষয়ে বিদ্যালয়টির সাবেক প্রধান শিক্ষক সিদ্দিুকর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের শূন্যতায় অনেকটা দায়সারাভাবেই স্কুল পরিচালনা করে আসছে সহকারি শিক্ষকগণ। প্রধান শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পড়ালেখা নিয়েও হতাশায় রয়েছেন তারা।
একাধিক শিক্ষার্থীর অবিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ে ৫বছর ধরে প্রধান শিক্ষক নেই, এতে করে স্কুলের পড়াশোনায় নানা রকম বেঘাত ঘটছে। কর্তৃপেক্ষর কাছে এলাকাবাসীর দাবি দ্রæত যেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুয়েব উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলাটি নিষ্পত্তি হলেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ শাহিমা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেছি। আমাকে পাঠদান কার্যক্রম ও দাপ্তরিক কাজ একসঙ্গে পরিচালনা করতে হচ্ছে। এতে আমার পাঠদান কার্যক্রমে কিছুটা বেঘাত তো ঘটছেই।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান সাহেব আদালতে একটি মামলা করেছেন, যার জন্য আইনী জটিলতায় কারণে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইনী জটিলতা নিষ্পত্তি হলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির বলেন, আইনী জটিলতার কারণে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। আইনি জঠিলতা শেষ হলেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।