মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
জাকির হোসেন রাজু:: পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে সৌদি গিয়ে এখন লাশ হয়ে দেশে ফিরছেন বাদাঘাট সরকারি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র আকবর হোসেন (২৩)। শনিবার বিকালে তার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছে স্বজনদের কাছে।
আকবর হোসেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের সিরাজপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালিবের পুত্র। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ৮মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন আকবর।
রোববার বিকালে উপজেলার শক্তিয়ারখলা বাজারে আকবরের লাশসহ সৌদিতে আটকে থাকা ৬ বাংলাদেশিকে দেশে ফিরেয়ে আনতে ও দোষিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আওয়াল, আওয়ামীলীগ নেতা জামাল হোসেন, সিরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেন, এবিএম বদরুল হাসান, হাফেজ আব্দুল্লাহ, আকবরের বড়ভাই আব্দুল সালাম প্রমুখ।
আকবর হোসেনের বড়ভাই আব্দুল সালাম বলেন, আমার ভাইকে সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে কাজের কথা বলে ৪লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরব নিয়ে যান জালাল উদ্দিনের ছেলে শহিদ মিয়া। শহিদ মিয়া আকবরকে কাজের কথা বলে সৌদি আরবে নিয়ে গেলেও প্রায় ৮ মাস আকবরকে কোন কাজ দিতে পারেনি। দিতে পারেনি বৈধ কোনো কাগজপত্র। বরং কাজ না দিয়ে আকবরকে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করেন। এবং আমাদের কাছে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিচার শালিসে বসলেও তারা বিষয়টি সমাধান করেননি। বরংআমরা এবিষয়ে যদি বারাবারি করি তাহলে আমার ভাইকে খুন করে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত তারা আমার ভাইকে খুন করেই ফেলল। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
জানাযায়, শহিদ মিয়া সিরাজপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে শামিম হোসেন, সিরাপুর পূর্ব পাড়া গ্রামের মির্জা আলীর ছেলে শাহ আলম ও ওমরপুর গ্রামের বদি উজ্জামানের রাসেল মিয়াসহ ৬জনকে কে সৌদি আরবে নিয়ে কোন বৈধকাগজপত্র ও কাজ দিতে না পেরে আকবরের মতই তাদেরকে ও আটকে রেখেছেন।
এবিষয়ে আকবরের বড়ভাই আব্দুল সালাম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে জালাল উদ্দিন, জালাল উদ্দিনের ছেলে মুজাহিদ মিয়া, শহিদ মিয়া, মেয়ে কুলসুম বেগম ও জালাল উদ্দিনের স্ত্রী রাজিয়া খাতুনের বিরোদ্ধে বিশ্বম্ভরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।