মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন

মশালঘাটে বিজলী বাতি

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী ইউনিয়নে আমার নিজ গ্রাম মশালঘাট একটি জন বিচ্ছিন গ্রাম। ছায়া নিবির সবুজ গাছ গাছালিতে পরিবেষ্টিত, বর্ষায় নাও, হেমন্তে পাও নীতিতে এখনও গ্রামটিতে লোকজনের বসবাস। বর্ষায় চতুর্দিকে পানি বেষ্টিত গ্রামটিকে দূর থেকে দেখল মনে হবে একটি দ্বীপ। গ্রামে উত্তর দিকে বিশাল শনির হাওর। দেশ স্বাধীনের পর প্রায় অর্ধ শত বছর পার হচ্ছে। এ গ্রামে উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগে নি। গ্রামবাসী সব দিক থেকেই বঞ্চিত ছিলো। সাদা মাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত গ্রামবাসী আজ বেজায় খুশি। গ্রামে বিজলী বাতির ঝলক লেগেছে। আমার মা কিছুক্ষণ পূর্বে ফোনে জানালেন বাড়িতে বিদ্যুৎ আসায় তোমার বাবা খু্বই খুশি হয়েছেন। আমার সত্তরোর্ধ বাবা বাড়িতে বিদ্যুতের আগমনে খুশি বলতে গ্রামে উন্নয়নে ছোঁয়ায় আনন্দিত। আমাদের শৈশব, কৈশোর কেটেছে কেরোসিনের বাতি দ্বারা। গত এক দশক ধরে চলছে সৌর বিদ্যুতের দ্বারা। আজ গ্রামটি আলোকিত হলো বিদ্যুতের আলোর দ্বারা। একটি এলাকার উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হলো বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। এ দুটির উন্নয়নে ঐ অঞ্চলের লোকজন সভ্যতার ছোঁয়া পায়। আমার গ্রামটিকে চাইলেই উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে সড়ক পথে সংযুক্ত করা সম্ভব। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংসদের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। উন্নয়নের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সাথে সাথে বিদ্যুতের সুবিধা প্রদানের জন্যে বর্তমান সরকারে প্রতি গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

লেখক: মো. মশিউর রহমান, প্রভাষক, সরকারি দিগেন্দ্র বর্মন কলেজ, বিশ্বম্ভরপুর, সুনামগঞ্জ।

শেয়ার করুন




 

 

 

 

© 2017-2022 All Rights Reserved Amadersunamganj.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!