মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
আমার স্তন,নাভি আর যোনির মাঝে যে তুমি সূক্ষ্ম জৌলুশ খুঁজে বেড়িয়েছিলে তার দায় আজ সম্পন্ন হয়েছে।আমি কড়ায় কড়ায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে তার ভাগ চুকিয়ে আজ দায়সারা হয়েছি।কপালের কালো টিপ, সিঁথিতে রাঙা টকটকে লাল সিঁদুর, লেপ্টে যাওয়া চোখের কোণে সে কাজল, আমার গরম নিঃশ্বাস আর আমার মিইয়ে যাওয়া স্তনের ম্লান হয়ে পরার আজ শেষ দিন।
হ্যাঁ , আজ শেষ দিন।আমি সমস্ত দায় চুকিয়ে পাঠ শেষ করে স্নান করে উঠেছি সবেমাত্র।
আজ আমায় পেছন থেকে খাবলে ছিঁড়ে তোমার সেই লোমশ হাত এলোপাথাড়ি আমার সমস্তটা জুড়ে শেকল ভাঙা হায়েনার মতো দাপিয়ে বেড়াবে না।কামড়ে আমায় রক্তাক্ত করবে না।আমার যোনিপথে গোলার বারুদ মিশিয়ে ভালোবাসার নামে তান্ডব চালাবে না রাতভর,হ্যাঁ রাতভর।
আমার নাভিশ্বাস উঠে যখন যায় যায় অবস্থার কাল হবে।যখন আমি হ্যাঁ এক ফোঁটা, হ্যাঁ মাত্র এক ফোঁটা পানির প্রচন্ড তৃষ্ণা নিয়ে হেরে যাওয়া কন্ঠে আকুল হয়ে মিনতি জানাব, তখন আমায় আবারও রক্তাক্ত করা হবে না।তোমার লালসা আর কামুকতার কাছে আমার তৃষ্ণা বিতৃষ্ণায় পরিণত হবে না।আমার শেষ বারের আর্ত চিৎকারেও যখন তোমার হিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে না, আমি তখন আবার নতুন করে একটু বাঁচতে চাই।হ্যাঁ , একটু বাঁচতে চাই।
আজ আমি স্বাধীন।পরাধীনতার সকল শেকল ভেঙে আজ আমি মুক্ত বিহঙ্গে বিহঙ্গম। আমি মাতাল হাওয়ায় বুনো ফুলের ঘ্রাণে লেপ্টে থেকে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগে ব্যস্ত।আমার শিরদাড়া আজ সটান হয়ে আছে।মিইয়ে চিপসে যাওয়া স্তন আজ বাড়ন্ত,শ্রী হীন মুখমন্ডলে আজ রঙয়ের নতুন বাহার।এ তল্লাটে আজ উড়ে যাবার এক উন্মুক্ত উন্মাদনা।প্রশ্বাসে আজ এক ধীয়মান স্তব্ধতা,সে এক অপার শান্তি।ক্লান্তি আর অসুখের বীজ উপড়ে ফেলে সেখানে রয়েছে আজ অঢেল অমিয় সুধা।
-জান্নাতুল ফেরদৌস: কবি ও লেখিকা