মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
সুপ্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেবো কবি ধীরেন্দ্র কুমার দেবনাথ শ্যামলকে। যিনি বিগত এক-দশক ধরে সাহিত্য জগতে বিচরন করছেন। ইতোমধ্যেই হাওর পাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখ, জীবন-জীর্বিকা নিয়ে লেখা তাঁর সাড়া জাগানো ১২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলা ২০১৩ তে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রগ’ কষ্ট, ২০১৪ তে ‘নানান রঙের গল্প গুলো, মহা পুরুষ চাই, ২০১৫ তে ‘গল্পে গলেপ শেখা, ২০১৬ উপন্যাস ‘পথে পথে’, ২০১৭ তে উপন্যাস ‘সম্পর্ক’ কাব্যগন্থ ‘সন্ধ্যা বেলার স্মৃথি, যৌথ গন্থ ‘সুনামগঞ্জের গুনিজন, বিবর্ণ প্রহর, চলছে গাড়ি ছড়ার বাড়ি, একুশ শতকের প্রেমের গল্প, একুশ শতকের প্রেমের কবিতা প্রকাশিত হয়।
তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। চলতি বছর সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখায় একটি বৃন্তে দুটি কুসুম ‘সাহিত্য পরিবার’ হতে কবিরতœ উপাধি পেয়েছেন তিনি। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিক পত্রমিতালি’র সম্পাদক ও প্রকাশক হাসিনা হাসি।
হাসিঃ কেমন আছেন?
শ্যামলঃ পরম করণাময়ের কৃপায় ভালই আছি।
হাসিঃ আপনার লেখা লেখির শুরটা কিভাবে হয়?
শ্যামলঃ আমার লেখালেখিটা শুরু হয় মূলত হাইস্কুল জীবন থেকেই। সেটা অনেকটা মনের অজান্তেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে।
হাসিঃ শুনেছি আপনার ১২টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থগুলো সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
শ্যামলঃ হে ঠিকই শুনেছেন ইতিমধ্যে আমার ৭টি একক কাব্যন্থ ও ৫টি যৌথ কাব্যন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থগুলো পাঠক সমাজে সাড়া জাগিয়েছে।
হাসিঃ আপনার কর্ম জীবন নিয়ে বলুন?
শ্যামলঃ ছোটবেলায় থেকেই আমি পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকে সম্মান করতাম। তাই কর্ম জীবনেও শিক্ষতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। আমি বর্তমানে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাঝাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
হাসিঃ আপনি একজন শিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে কেমন দেখতে চান?
শ্যামলঃ একজন শিক্ষক হিসেবে আমি আমার এই জন্মভূমিকে একটি সু-শিক্ষিত, বেকার মুক্ত, হতাশামুক্ত এবং সৃজনশীল ও উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
হাসিঃ আপনি তো সরকারিভাবে ভিয়েতনাম সফর করেছেন এ সর্ম্পকে কিছু বলুন?
শ্যামলঃ একটি দেশ উন্নত হতে হলে প্রথমেই বিশেষভাবে সময়নুবর্তিতা, সত্যবাদিতা, দেশপ্রেম, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অন্যের প্রতি সহনশীলতা এই গুন গুলি থাকতে হবে। আর এই গুণ গুলো ভিয়েতনাম এর নাগরিতদেদের মধ্যে আছে। আমাদের বাংলাদেশ দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে, কিন্ত ভিয়েতনাম সুদীর্ঘ পচিঁশ বছর যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। বর্তমানে ভিয়েতনাম আমাদের থেকে অনেক অনেক গুণ উন্নত। আর তাদের এই উন্নত হওয়ার একটিই কারণ তারা কর্মঠ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
হাসিঃ আপনি কি কোন সাহিত্য সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন?
শ্যামলঃ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশ্বম্ভরপুর সাতিত্য সভা, শিল্পকলাা একাডেমী বিশ্বম্ভরপুর শাখার সাহিত্য সম্পাদক, উদীচি শিল্প গোষ্ঠি সাহিত্য সম্পাদক।
হাসিঃ ‘মাসিক পত্রমিতালি’র সম্পর্কে কিছু বলুন?
শ্যামলঃ তরুণ সাংবাদিক ¯েœহের জাকির হোসেন রাজু’র প্রধান সম্পাদনায় ও তরুণ লেখিকা হাসিনা হাসি’র সম্পাদনা ও প্রকাশনায় ‘মাসিক পত্রমিতালি’ পত্রিকাটি সুনামগঞ্জের মতো একটি জেলায় সাহিত্যের জন্য এক উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে কাজ করছে। এজন্য পত্রিকাটির সাথে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই এবং সেই সাথে পত্রিকাটির সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
হাসিঃ ধন্যবাদ আপনাকে সময় দেয়ার জন্য।
শ্যামলঃ আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।
বিঃদ্রঃ সাক্ষাৎকারটি সুনামগঞ্জের নিয়মিত সাহিত্য পত্রিকা মাসিক পত্রমিতালি’র নভেম্বর মাসের সংখ্যাতে প্রকাশিত হয়েছে।